সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। রাজনীতির উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে, এর ব্যতিক্রম নয় সাতক্ষীরার শ্যামনগর (সাতক্ষীরা-৪) আসনও। এ আসনে রাজনৈতিক আলোচনায় বারবার উঠে আসছে একটি নাম—ড. মো. মনিরুজ্জামান মনির। তরুণদের মুখে মুখে এখন একটাই দাবি:
“পরিবর্তনের সময় এসেছে, এবার নেতৃত্ব হোক সৎ, শিক্ষিত ও আধুনিক চিন্তার মানুষের হাতে।”
চায়ের দোকান, হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিংবা নদীপাড়—যেখানেই যাওয়া যায়, শোনা যাচ্ছে একই কণ্ঠস্বর—“ড. মনিরই আমাদের ভরসা, তিনিই হোন আমাদের সংসদ সদস্য।” দলমত নির্বিশেষে তরুণ সমাজের একটি বড় অংশ তাঁর পক্ষে সোচ্চার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাঁর জনপ্রিয়তা চোখে পড়ার মতো।
ড. মনিরুজ্জামান মনিরের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু ২০০৯ সালে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাসী। সময়ের সঙ্গে তিনি নিজেকে গড়ে তুলেছেন দক্ষ সংগঠক, চিন্তাশীল রাজনীতিক ও মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে। সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত “রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা” কর্মশালায় অংশ নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে আলোচনায় আসেন তিনি। সেখানে তাঁর যুক্তিনির্ভর বক্তব্য অংশগ্রহণকারীদের দৃষ্টি কাড়ে।
তরুণদের কর্মসংস্থান, উদ্যোক্তা বিকাশ ও ডিজিটাল শিক্ষার প্রসারে তাঁর পরিকল্পনা প্রশংসিত হয়েছে। পিএইচডি ডিগ্রিধারী ড. মনির গবেষণা করেছেন “The Impacts of the New Artificial Intelligence Technology on Business Entrepreneurship” বিষয়ে। ফলে তাঁর রাজনৈতিক দর্শনে প্রযুক্তিনির্ভর উন্নয়নের স্পষ্ট ছাপ রয়েছে।
এক কলেজপড়ুয়া তরুণ বলেন, “মনির ভাইয়ের মতো রাজনীতিক আগে দেখিনি। উনি আমাদের মতো করে ভাবেন, আমাদের ভাষায় কথা বলেন।”
অন্যদিকে এক প্রবীণ ব্যবসায়ী বলেন, “মনির সাহেব ভদ্র, শিক্ষিত, নির্লোভ—এমন নেতা আগে পাইনি। তাঁকে সংসদে দেখতে চাই।”
রাজনীতিতে ড. মনির কখনও কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। বরং অন্যায়ের বিরুদ্ধে সবসময় সোচ্চার ছিলেন। এ কারণেই শ্যামনগরের মানুষ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম, তাঁকে দেখছে একজন ‘রোল মডেল’ হিসেবে। স্থানীয় বিশ্লেষকদের মতে, শ্যামনগরের অবহেলিত উন্নয়ন ও নেতৃত্ব সংকট পূরণ করতে সক্ষম হতে পারেন ড. মনিরের মতো তরুণ, শিক্ষিত ও প্রযুক্তিনির্ভর নেতা।
শ্যামনগরের তরুণদের কণ্ঠে এখন একটাই স্লোগান—
“মনির মানে মেধা, মনির মানে মানবতা, শ্যামনগরের ভরসা — ড. মনিরুজ্জামান মনির।”
তরুণদের মতে, “আমরা এমন নেতৃত্ব চাই, যে বুঝবে, প্রতিশ্রুতি নয়—কাজ করবে। মনির ভাই সেই মানুষ।”
রাজনীতির মাঠে ড. মনির শুধু একজন প্রার্থী নন, হয়ে উঠেছেন শ্যামনগরের মানুষের “হৃদয়ের প্রার্থী।”